নিজস্ব প্রতিবেদক:
ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স আইডিবি’র রাজশাহীর জেলা কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। রাজশাহী নগরীর টুলটুলিপাড়ায় এ কার্যালয় থেকে লুটপাটকারিরা প্রাচীর ও জানালার গ্রীল, দরজা ও পায়খানার প্যান পর্যন্ত নিয়ে গেছেন। সোমবার বিকেল ৪টার দিকে এ হামলা হয়।
সরোজমিন দেখা যায়, বুধবার দুপুরে অনেকে ভিতরে ঢুকে ওয়ারিং থেকে বিদ্যুতের তার নিয়ে যাচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বলেন, এটা কোন রাজনৈতিক সংগঠন না। আইডিইবির সদস্যরা চাঁদায় কার্যালয়টি পরিচালিত হয়। এই কার্যালয়টি তিলে তিলে গড়ে তোলা হয়েছিল। যেটা ২০০২ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি তৎকালিন মাননীয় মেয়র ও এমপি বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্ঠা মিজানুর রহমান মিনু উদ্বোধন করেছিলেন। এখানে সব রাজনৈতিক দলের মতাদর্শের প্রকৌশলীগণ মিলেমিশে কাজ করে। আবার এটা কোন রাজনৈতিক দলও পরিচালনা করে না। এরকম একটা নিরপেক্ষ প্রতিষ্ঠানে হামলা ও লুটতরাজ খুবই দুঃখজনক।
আইডিইবি সুত্রে থেকে জানা যায়, সবমিলিয়ে প্রায় ৫০ লাখ টাকার ক্ষতি ও লুটপাট হয়েছে। ভাংচুরসহ লুট হয়েছে- ৪০ হাজার টাকা মূল্যের ষ্টেজ বোর্ড, দুই লাখ টাকা মূল্যের ৪০ স্টীলের আর্মড কুশন চেয়ার, ৬টা ৬৫ হাজার টাকা মূল্যের সেক্রেটারিয়েট টেবিল, ২টা ৩৫ হাজার টাকা মূল্যের ফাইল কেবিনেট, ৮০ হাজার টাকা মূল্যের ষ্টীল আলমারী ৪টা, ৩৬ হাজার টাকা মূল্যের ষ্টীল চেয়ার আর্মলেস ১২ টা, ৩৫ হাজার টাকা মূল্যের সোফা ১ সেট, স্টীল সিলিং ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা মূল্যের সিলিং ফ্যান ৩৬ টি , এসি গ্রি ১'৫ টনের যার মূল্য ৮৫ হাজার টাকা, আইপিএস ১টা মূল্য ৩৫০০০ হাজার টাকা।
আরো লুট হয় চার লাখ টাকা মূল্যের ৮টি বড় টেবিল, ১০ লাখ টাকা মূল্যের কম্পিউটার সেট ২২ টি, প্লাস্টিকের চেয়ার হাতলসহ ২৫০ টা যার মূল্য দুই লাখ টাকা, এক লাখ ৪০ হাজার টাকা মূল্যের ২২ টি কম্পিউটার টেবিল, প্রায় সাড়ে ৫ লাখ টাকা মূল্যের বই, ৫ লাখ টাকার ইন্টেরিয়র ডেকোরেশন সিলিংসহ টিউব লাইট, বাল্ব, সিসিটিভি ক্যামেরা, পর্দা, দেওয়াল ঘড়ি, প্লাস্টিকের চেয়ার হাতল ছাড়া ১০০ টা চেয়ার, মাইক সেট সাউন্ড সিষ্টেম, রোষ্টাম, ওয়াল পার্টিশন গ্যাস, কার্পেট, ফিটিংস, ওয়নার্স বোর্ড, ইউটেনসিল, নষ্ট করেছে দরজা, জানালার কাঁচ, গ্রীল মূল্যবান দাপ্তরিক ফাইল, লেজার বই, ক্যাশবই চেক বই, রশিদ বহি, দলিল দস্তাবেজ গত ৫০ বছরের কাগজপএ সহ আনুষঙ্গিক কাগজপএ। এমনকি তারা ওয়াশরুমের কমোড প্যানও সঙ্গে করে নিয়ে গেছে। এছাড়াও তারা যাওয়ার সময় কার্যালয়ে আগুন ধরিয়ে যায়।
এরআগেই বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিনু বলেছিলেন, “আমি এই রাজনীতি পছন্দ করি না। সবাইকে এসব কাজ থেকে বিরত থাকার জন্য নির্দেশ দিয়েছি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে যাচ্ছি করছি।”