৬ ফাল্গুন, ১৪৩১
১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

কোটা সংস্কারের দাবিতে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ

Admin Published: July 10, 2024, 9:53 am
কোটা সংস্কারের দাবিতে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ

রাবি প্রতিনিধি :সরকারি ১ম ও ২য় শ্রেণির চাকরিতে কোটা পুনর্বহাল বাতিল ও সরকারি চাকুরিতে কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবি জানিয়ে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও রাজশাহী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (১০ জুলাই) সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোড অবস্থানের পর বেলা ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন গেইট পরে রাজশাহী বাইপাসে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা।

'বঙ্গবন্ধুর বাংলায়, কোটা প্রথার ঠাঁই নাই, 'মুক্তিযোদ্ধা বিরোধী অপশক্তিরা নিপাত যাক', 'দেশ স্বাধীন করলো যারা, কেন অপমানিত হবে তারা', 'কোটা ব্যবস্থা বৈষম্য সৃষ্টি করে না বরং সমতা বিধান করে', 'মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে কটাক্ষ চলবে না, চলবে না', 'মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সম্মানহানি করা যাবে না' এসময় এমনসব স্লোগানে৷ প্রতিবাদ জানান তারা।

আন্দোলনের সমন্বয়ক আমান উল্লাহ খান বলেন, বিচার বিভাগ আইনগত সিদ্ধান্ত বা ব্যাখ্যা জানিয়েছে। তাদের কাছ থেকে আমাদের প্রত্যাশা নেই। আমরা চাই, নির্বাহী বিভাগ থেকে নতুন পরিপত্র জারির মাধ্যমে আমাদের সার্বিক দাবিগুলো পূরণ। হুট করে স্থিতাদেশ দিয়ে আন্দোলন দমিয়ে রাখা যাবে না। আন্দোলন চলবে।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের ছাত্রসমাজ তৎপর ছিল, আছে এবং থাকবে। একটি দেশের সার্বিক উন্নয়নের জন্য সরকারি চাকুরিতে মেধাবীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে, রাষ্ট্রের প্রতিটি নাগরিকের সমান সুযোগ সুবিধা সৃষ্টি করার কোনো বিকল্প নেই। বৈষম্যমূলক কোটাপদ্ধতির সংস্কারের লক্ষ্যে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সর্বদা সোচ্চার রয়েছে।

কোটাপদ্ধতি সংস্কার আন্দোলন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয় পরিষদের সদস্য মেহেদী সজীব বলেন, আজকে আমরা ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অপরাধ করেছি। আমাদের লাগাতারে কর্মসূচি চলবে। যতদিন পর্যন্ত আমাদের দাবি আদায় না হবে।

বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের আপিল বিভাগে শুনানি শেষে এ রায় দেন আদালত। ফলে আগামী এক মাস পর এ বিষয়ে ফের শুনানি হবে।

এ সময় রাবির বিভিন্ন বিভাগের প্রায় এক হাজার শিক্ষার্থী উক্ত অবরোধে অংশগ্রহণ করেন।