ডিএনএন ডেস্ক :
শুক্রবার নেপালের পার্লামেন্টে প্রধানমন্ত্রী ও সাবেক মাওবাদী নেতা পুষ্পকমল দাহাল আস্থা ভোটে হেরে যাওয়ার পর নতুন জোট সরকার গঠিত হয়েছে। রোববার এই সরকারের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পেলেন দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা অলি। এ নিয়ে নেপালে তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হলেন ৭২ বছর বয়সী এই নেতা।
ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোর বরাতে জানা গেছে, নেপালের প্রেসিডেন্ট রাম চন্দ্র পোডেল কমিউনিস্ট পার্টি অব নেপাল ইউনিভায়েড মার্ক্সিস্ট লেনিনিস্ট (সিপিএন-ইউএমএল) ও নেপালি কংগ্রেসের (এনসি) যৌথ সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কে পি শর্মাকে নিয়োগ দেন। আগামীকাল সোমবার তিনি মন্ত্রিসভার অন্যান্য সদস্যের সঙ্গে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন।
এর আগে ২০২২ সালের ডিসেম্বরে সরকার গঠন করেছিলেন সদ্য বিদায় নেওয়া প্রধানমন্ত্রী পুষ্পকমল দাহাল। এরপর ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে তাঁকে তিনবার জোট বদলাতে হয়। আর পাঁচবার পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোটের মুখোমুখি হতে হয়। গত শুক্রবার পঞ্চমবারের অনাস্থা ভোটে হেরে গেছেন তিনি। নতুন সরকার গঠনের মধ্য দিয়ে নেপালে ২০ মাস ধরে চলমান রাজনৈতিক অচলাবস্থার নিরসন হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
২০০৮ সালে নেপালে ২৩৯ বছরের পুরোনো রাজতন্ত্রের অবসান ঘটনার পর থেকেই রাজনৈতিক অস্থিরতা, অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে চলছে গণতান্ত্রিক নেপাল। কে পি শর্মা অলির নেতৃত্বাধীন সরকার দেশটির ১৪ তম গণতান্ত্রিক সরকার।
নেপালের রাজনীতিতে সব সময় প্রতিবেশী ভারত ও চীনের প্রভাব দেখা যায়। দুটি দেশেরই নেপালে বড় বিনিয়োগ রয়েছে। সম্প্রতি রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার মুখে প্রধানমন্ত্রী পুষ্পকমল দাহালের সরকারের ওপর থেকে সমর্থন তুলে নেয় অন্যতম বৃহত্তম জোটসঙ্গী লিবারেল কমিউনিস্ট ইউনিফায়েড মার্ক্সিস্ট লেনিনিস্ট (ইউএমএল) পার্টি। এই দলটিরই নেতা কে পি শর্মা অলি।