রাবি প্রতিনিধি : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ‘শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম প্রশাসন ভবন’র নাম ফলকের ‘শহীদ সৈয়দ নজরুল’ অংশটুকু ভেঙে তুলে ফেলা হয়েছে। তবে কে বা কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তা জানা যায়নি। প্রশাসনও বলতে পারছে না কারা এ কাজ করেছে। এমনকি কবে এই কাজ করা হয়েছে তা কারো নজরেও আসেনি। সম্প্রতি একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি সবার নজরে আসে এবং শুরু হয় সমালোচনা।
নাহিদ আল-কাদরি নামের এক শিক্ষার্থী তার ফেসবুক টাইমলাইনে লিখেছেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, ইসলামের পতাকা উড়বেই উড়বে। রাবি বাংলাদেশের প্রথম মুশলিম বিশ্ববিদ্যালয়, আমিন।’
এ. কে. জিলানী নামের আরেক শিক্ষার্থী লিখেছেন, ‘আজ তিন নভেম্বর! জেল হত্যা দিবস! জাতীয় চার নেতার অন্যতম সৈয়দ নজরুল ইসলাম এর নামে রাবির প্রশাসন ভবনের নাম ছিল!’
সরেজমিনে দেখা যায়, ‘শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম প্রশাসন ভবন’ নামের ‘ শহীদ সৈয়দ নজরুল’ অংশটুকু তুলে ফেলা হয়েছে। তবে কে বা কারা এটা কি উদ্দেশ্যে করেছে তা জানে না বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
এ বিষয়ে রাকসু আন্দোলনের সদস্য সচিব আমান উল্লাহ আমান বলেন, জুলাই বিপ্লব পরবর্তী সময়ে আওয়ামী রেজিমের এককেন্দ্রিক মুক্তিযুদ্ধের বয়ানের বিরুদ্ধে মানুষ তার উষ্মা প্রকাশ করে শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভাঙ্গার মধ্য দিয়ে এবং বিভিন্ন স্মৃতিফলক বিনষ্টের মধ্যে দিয়ে। এ ক্ষোভ হাসিনা রেজিমের ইতিহাস বিকৃতির বিরুদ্ধে যেখানে ভাসানী, জাতীয় চারনেতা এবং অন্যসব ক্ষণজন্মাদের প্রতিদান উপেক্ষিত রাখা হয়েছিল।
রাবির প্রশাসন ভবনের নামফলক ভাঙার বিষয়টা ইচ্ছাকৃত নাকি কারিগরি ত্রুটি সেটা পরিষ্কার হওয়া জরুরি। জুলাই বিপ্লবের পরে ইতিহাসের পাতায় জায়গা করে নেওয়া সব নেতার প্রতি প্রাপ্য সম্মান দেওয়া হবে সেটাই আমরা প্রত্যাশা করি। ঐকমত্যের বাংলাদেশে পৌঁছাতে চাইলে এধরনের কাঠামোগত বিচ্যুতিকে কাটিয়ে উঠতে হবে। এমনকি আমি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের নামফলক এবং প্রতিকৃতি পুনঃনির্মাণের পক্ষে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবর রহমান বলেন, আমি বিষয়টি সর্ম্পকে এখনো জানি না। এটা যেহেতু প্রকৌশল দফতরের কাজ, আমি প্রকৌশলীর সাথে কথা বলবো।