স্টাফ রিপোর্টার : সারাদেশের মানুষ এয়োদশ নির্বাচনের জন্য অধির আগ্রহে অপেক্ষা করছে। কারণ তারা নিজেদের পছন্দের প্রার্থীকে বিজয়ী করতে ভোট প্রদান করবেন। তাদের নির্বাচিত প্রতিনিধি দ্বারা রাষ্ট্র পরিচালনা করতে চায়। আর আমরা যারা বিএনপি করি আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া হচ্ছে জনগণের নেত্রী। একজন মা-বোনের সব থেকে মূল্যবান হচ্ছে তার স্বামীর বসতভিটা।
সেই বসত ভিটা থেকে বেগম জিয়াকে উচ্ছেদ করা হয়েছে বলে রোববার বিকেলে রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে গণ সচেতনামূলক প্রচারনায় আসন্ন ক্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে পবা উপজেলার বড়গাছি ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড বিএনপি অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের আয়োজনে বিভিন্ন ভোট কেন্দ্রে নির্বাচনী প্রস্তুতি গ্রহনের লক্ষ্যে কর্মী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি জতীয় নির্বাহী কমিটির ত্রান ও পূনর্বাসন বিষয়ক সহ-সম্পাদক ও রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট শফিকুল হক মিলন এই কথাগুলো বলেন।
তিনি বলেন, বেগম জিয়ার বুকের ধন দুইটি সন্তানকে আহত অবস্থায় মৃত্যু সজ্জায় দেশের বাহিরে যেতে হয়েছে। তাদেরকে জিম্মি করে বেগম জিয়াকেও দেশের বাহিরে পাঠানোর চেষ্টা করা হয়েছিলো। কিন্তু তিনি রাজি হননি। দুইজন চিকিৎসার জন্য গেলেও একজন মৃত্যুবরণ করেছেন। আরেক জন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এখনো দেশের বাহিরে আছেন। ছেলের মত্যুতে তার বুক ফাটা কান্না দেশের জনগণ দেখেছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
মিলন বলেন, ছাত্র-জনতা ও বিএনপির সতের বছরের আন্দোলনের ফলে ফ্যাসিস্বট সরকারের পলায়নের পরে যে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়েছে, সেই সরকারের প্রধান ড. মোহাম্মদ ইউনুস এর নিকট একটাই দাবী তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনার পরিবেশ তৈরী করতে হবে। এটা মগের মুল্লুক নয়। এটা পাকিস্তান নয়। যে বেনজিরের মত নির্বাচনের তারিখ তারিখ খেলবেন। তারেক রহমান আসবেন আর তাঁকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করবেন। আর আততায়ীদের গুলিতে নিহত বলে চালিয়ে দেবেন। এরকম হলে বাংলাদেশের খুনি হাসিনা, শেখ পরিবারের সদস্যদের দুইদিন আগে আর নিজে পরে চার্টার্ড এ করে পালিয়ে যেতে পেরেছে। যারা এই ষড়যন্ত্রের সাথে লিপ্ত আছে তারা আস্ত থাকতে পারবেনা এবং বাংলাদেশ থেকে পালিয়েও যেতে পারবেনা বলে হুঁশিয়ারী দেন তিনি।
মিলন কর্মীদের সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছিলো, ষড়যন্ত্র চলছে, ষড়যন্ত্র আগামী দিনেও থাকবে। যাদের উপরে দেশের জনগণ আস্থা রাখতে চায়, তা হলো বিএনপি। বিএনপিকে সজাগ থাকতে হবে। যেমনভাবে দীর্ঘ সতের বছর পাহাড়া দিয়েছেন, মিথ্যা মামলা,গায়েবী মামলা, খুন,গুম ও নির্যাতন সহ্য করেছেন, সেভাবেই দেশের জনগণকে পাহারা দিতে হবে। যুবদল, ছাত্রদল ও বিএনপিসহ অঙ্গ ও সহযোগি দল করতে অনেক বড় কলিজা লাগে। গুপ্ত ভাবে, চোরাইভাবে কেউ দল করেনি। কোন নেতাকর্মী তা করেনি জানান তিনি।
তিনি বলেন, মা-বোনেরা জানে গত ২০২৪ সালে যে নির্বাচন হয়েছে সে সময়ে কোন নেতাকর্মী বাড়িতে ঘুমাতে পারেনি। আত্মীয়স্বজন জায়গা দিতে ভয় পেত। আজকে সেই বাংলাদেশ, যে বাংলাদেশে বিএনপির বিশহাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। বেগম জিয়াকে কারাগারে রেখে তিলে তিলে হত্যা করার চেষ্টা করা হয়েছে। এখনো তিনি শংকামুক্ত নন। এটা সেই বাংলাদেশ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে এক প্রকার পঙ্গু হয়ে দেশের বাহিরে যেতে হয়েছে। এটা সেই বাংলাদেশ, যেখানে বিএনপি চারবার নির্বাচিত হয়ে দেশের সেবা করার সুযোগ পেয়েছে।
তিনি বলেন, যারা গুপ্ত রাজনীতি করেন। তাদের কোন দল নেই। আওয়ামীলীগকে রক্ষা করতে জামায়াত কাজ করছে। তারা একটি ফরম পুরণ করে পলিশের কবল থেকে রক্ষা করছে। তিনি জামায়াতকে উদ্দেশ্য করে বলেন, এতদিন ছিলেন বেগম খালেদা জিয়ার আঁচলের তলে, এখন সন্ত্রাসীদের প্রশ্রয় দিয়ে সমস্ত ভোট নিয়ে নেবেন। বড়গাছীসহ দেশবাসী কি তাদের ভোট দেবে। ভোট দেবেনা। তারা রাস্তাঘাটে দাড়িপাল্লার পরিবর্তে ডালিপাল্লা টাঙ্গিয়ে রেখেছে। নির্বাচনের দিন ঠিকই ভোটারগণ ডালিপাল্লায় ভোট না দিয়ে ধানের শীষেই ভোট দেবেন বলে উল্লেখ করেন তিনি।
বিএনপি আওয়ামলীগের মত নির্বাচন করতে চায়না। বিএনপি সব দলকে নিয়ে নির্বাচন করতে চায়। দিনের ভোট রাতে এবং বিনা ভোটে এমপি হেত চান না। চুরি ও ডাকাতি করতে চায়না। আমি, ডামি নির্বাচন করতে চায়না বিএনপি। নির্বাচন নিয়ে জামায়াত অনেক ষড়যন্ত্র করছে। কোন ষড়যন্ত্রই কাজে আসবেনা। নির্বাচন যথা সময়েই হতে হবে। আর নেকতাকর্মীদেরও এই নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
৭নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ফারুক রহমানের সভাপতিত্বে, এবং সাধারণ সম্পাদক আজাহার আলীর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পবা উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব সহকারী অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক, যুগ্ম আহ্বায়ক সুলতান আহমেদ, বড়গাছা ইউনিয়ন বিএনপি নেতা মকবুল হোসেন, আব্দুর রহমান, জালাল উদ্দীন সরকার, রায়হানুলদৌলা পান্না, মোজাম্মেল হক ভিকু, আশরাফ আলী, সামসুল হক,ফয়সাল আলী, আফজল হোসেন ও শফিকুল ইসলাম, যুবদল নেতা বাবর আলী, সেন্টু, মিনারুল ইসলাম, স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক জয়নুল আবেদীন, সদস্য সচিব ওয়াসিম আলী, পবা উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব হাফিজুর রহমান হাফিজ ও মৎস্যজীবী দলের সভাপতি রবিউল ইসলাম। এচাড়াও বিএনপি,অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীবৃন্দ।