২৩ ভাদ্র, ১৪৩১
০৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

মধুপুর গড়ের খেজুরের রস-গুড়ে অপার সম্ভাবনা

Admin Published: January 26, 2024, 6:12 pm
মধুপুর গড়ের খেজুরের রস-গুড়ে অপার সম্ভাবনা

টাঙ্গাইলের মধুপুর গড়ে শীতের আমেজে পিঠাপুলির ধুম পড়েছে। খেজুরের রস সংগ্রহ ও গুড় তৈরিতে বেড়েছে ব্যস্ততা গাছিদের।  ভালো মানের হওয়ায় চাহিদাও বাড়ছে। আশপাশের উপজেলা, জেলা থেকে গুড় কিনতে আসছে লোকজন। 

কুয়াশাঢাকা ভোরে মাটির হাড়িতে ভরছে লাল মাটির খেজুরের রস। কাঁধে নিয়ে ছুটছেন রসের হাড়ি। বড় কড়াইয়ে কাঁচা রস ঢেলে আগুনে জাল করছেন শীতের সকালে। আগুনের তাপে জলীয় বাষ্পে ঘন হচ্ছে রসের কড়াই। চারপাশ ঘ্রাণ ছড়িয়ে পড়েছে। যতই সময় ঘনিয়ে আসছে দেখা দিচ্ছে ঘন রসের ঝোলাগুড়। এ যেন গাছি আর কারিগরের হাতের যাদু। 

কাঠের যন্ত্রের ঘর্ষনে বেড়িয়ে আসছে গুড়। মাটির চাটির উপরে কালো পলি বিছিয়ে ঢেলে দিচ্ছে গরম সিদ্ধ রসের ঘন ছানা। একটু পরেই জমাট বেঁধে রূপ নেয় গুড়ে। 

মেডিসিন বা কেমিক্যাল না দেওয়ায় মধুপুরের পাহাড়িয়া এলাকার পিরোজপুর গ্রামের তৈরিকৃত এ গুড়ের চাহিদা বেড়েই চলছে। প্রতিকেজি গুড় সাড়ে চারশ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে। গুড় কিনতে আশপাশের উপজেলা থেকে আসছেন ক্রেতারা। 

গাছিরা বলছেন পুরো শীতজুড়ে চলবে গুড় তৈরির কার্যক্রম। অন্যান্য জেলার গুড়ের চেয়ে লাল মাটির গুড় স্বাদে গুনে ঘ্রাণে অনণ্য। ভেজাল মুক্ত হওয়ায় স্থানীয়দের চাহিদা বেড়েছে। এমন গুড় পেয়ে খুশি স্থানীয়রা। গুনেমানে ভালো থাকায় দুর দূরান্ত থেকেও আসছেন ক্রেতারা। 

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সাইদুর রহমান বলেন, খেজুর রসে উপকারিতা আছে, আবার ক্ষতির কারণও হতে পারে। নিপা ভাইরাসের আক্রমনের হাত থেকে রক্ষার জন্য পরিমিত তাপমাত্রায় সিদ্ধ করে খেতে হবে।