ডিএনএন ডেস্ক: ৩ বছর ৭ মাস পর টেস্ট ক্রিকেটে নিজের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি পেলেন মাহমুদুল হাসান জয়। সবশেষ ২০২২ সালের ৩১ মার্চ দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ডারবানে ১৩৭ রানের ইনিংস খেলেছিলেন। এরপর আরও ১৫ টেস্ট খেলেও শতকের দেখা পাননি। অপশেষে আজ ১৯০ বল খেলে ৯টি চার ও ১ ছক্কায় তিন অঙ্কের ম্যাজিক্যাল ফিগারে পৌঁছান তিনি। তার ব্যাটে ভর করে বাংলাদেশও পেরিয়ে গেছে ২০০ রান। এখন দেখার বিষয় ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় শতকের ইনিংসটাকে কতোদূর টেনে নিতে পারেন জয়।
সেঞ্চুরির অপেক্ষায় জয়, দুইশ রানের দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশ:
চা বিরতির পর আবার ব্যাটিংয়ে নেমেছে বাংলাদেশ। জয় তার ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরির অপেক্ষায় আছেন ৯৪ রান নিয়ে। অন্যদিকে বাংলাদেশ ১৯৮ রান দিয়ে আছে দুইশ ছোঁয়ার অপেক্ষায়। শেষ সেশনে কি হয় দেখার অপেক্ষায় ক্রিকেটপ্রেমীরা।
চা বিরতিতে বাংলাদেশ
১ উইকেট হারিয়ে ১৯৮ রান তুলে চা বিরতিতে গিয়েছে বাংলাদেশ। জয় ৯৮ ও মুমিনুল ২১ রানে অপরাজিত আছেন।
ফিরলেন সাদমান
উদ্বোধনী জুটিতে মাহমুদুল হাসান জয়ের সঙ্গে ১৬৮ রানের জুটি গড়ে অবশেষে ফিরলেন সাদমান ইসলাম। দলীয় ১৬৮ রানের মাথায় হামফ্রেয়ার্সের বলে উইকেটের পেছনে লরকান টাকারের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরত যান তিনি। যাওয়ার আগে ১০৪ বল খেলে ৯টি চার ও ১ ছক্কায় ৮০ রানের ইনিংস খেলে যান। জয়ের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন মুমিনুল হক। জয় ৮৭ রানে ব্যাট করছেন।
সাদমান-জয়ের ব্যাটে দেড়শ পেরুল বাংলাদেশ
আয়ারল্যান্ডের করা ২৮৬ রানের জবাবে বাংলাদেশ দারুণ সূচনা করেছে। বিনা উইকেটে তারা দেড়শ রান পার করেছে। দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান সাদমান ও জয় সমানতালে ব্যাটিং করছেন। ৯টি চার ও ১ ছক্কায় সাদমান ৭৪ ও ৮টি চার ও ১ ছক্কায় জয়ও অপরাজিত আছেন ৭৪ রানে। আয়ারল্যান্ডের প্রথম ইনিংসের চেয়ে বাংলাদেশ এখনো পিছিয়ে আছে ১৩৫ রানে।
সাদমান-জয়ের জোড়া ফিফটিতে শতরান পেরিয়ে মধ্যাহ্ন বিরতিতে বাংলাদেশ
প্রথম ইনিংসে আয়ারল্যান্ডের করা ২৮৬ রানের জবাবে বাংলাদেশ দারুণ সূচনা করেছে। ২৪ ওভারে বিনা উইকেটে ১০৮ রান তুলে মধ্যাহ্ন বিরতিতে গিয়েছে বাংলাদেশ। দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান সাদমান ও জয় দুজনেই তুলে নিয়েছেন ফিফটি। সাদমান ৮ চার ও ১ ছক্কায় ৫৮ এবং জয় ৭ চার ও ১ ছক্কায় ৫০ রানে ব্যাট করছেন। আয়ারল্যান্ডের চেয়ে বাংলাদেশ পিছিয়ে আছে ১৭৭ রানে।
বাংলাদেশের দারুণ সূচনা
সিলেট টেস্টের দ্বিতীয় দিনের শুরুতেই আয়ারল্যান্ডকে ২৮৬ রানে অলআউট করে বাংলাদেশ। জবাব দিতে নেমে দারুণ সূচনা পেয়েছে স্বাগতিকরা। ১৪ ওভারে বিনা উইকেটে ৫৮ রান সংগ্রহ করেছে। দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান মাহমুদুল হাসান জয় ও সাদমান ইসলাম দেখে-শুনে ব্যাট করছেন।
জয় ৪টি চার ও ১ ছক্কায় ২৯ এবং সাদমান ৩টি চার ও ১ ছক্কায় সমান রানে ব্যাট করছেন।
অনায়েস ব্যাটিংয়ে ভালো শুরু বাংলাদেশের
শুরুটা করেছিলেন মাহমুদুল হাসান জয়। ক্রিজে গিয়েই স্বদর্পে ব্যাট চালান। বাউন্ডারি পেয়ে যান অনায়েসে। সেই যাত্রায় তাকে সঙ্গ দেওয়া সাদমান ইসলাম যোগ দেন একটু পর। থিতু হওয়ার পর বাঁহাতি ব্যাটসম্যানও আগ্রাসন দেখান। ইনিংসের একমাত্র ছক্কাটি এসেছে তার ব্যাট থেকে। দুজনের দারুণ ব্যাটিংয়ে প্রথম ইনিংসে ভালো শুরু পেয়েছে বাংলাদেশ। ১০ ওভারে ৪৬ রান তুলেছে কোনো উইকেট না হারিয়ে।
১৪ বলে ২ উইকেট নিয়ে আয়ারল্যান্ডকে গুটিয়ে দিল বাংলাদেশ
১৪ বল, ১৬ রান। দ্বিতীয় দিনের শুরুতে আয়ারল্যান্ডের ইনিংস টিকল কেবল ১৪ বল। দুইটি চার, একটি ছক্কা ও একটি ডাবলসে তারা যোগ করতে পারল ১৬ রান। ২৭০ রানে দিন শুরু করে হাতে ২ উইকেট নিয়ে ২৮৬ রানে এসে থামল আইরিশদের ইনিংস। তাইজুল ইসলাম ও হাসান মাহমুদ সাত সকালে ১টি করে উইকেট নেন।
টস জিতে ব্যাটিং করতে নেমে আগের দিন ৮ উইকেটে ২৭০ রান করেছিল আয়ারল্যান্ড। আজ ১৪ বলেই থেমে যায় তাদের লড়াই। মিরাজ ৩ উইকেট নিয়ে দলের সেরা বোলার। তাইজুল, হাসান মাহমুদ, হাসান মুরাদ পেয়েছেন ২টি করে উইকেট। নাহিদ রানার শিকার ১টি।
১০ মিনিটের বিরতিতে বাংলাদেশের ব্যাটিং ইনিংস শুরু হবে।
কতদূর যাবে আয়ারল্যান্ড?
টস জিতে ব্যাটিং করতে নেমে আয়ারল্যান্ড সিলেট টেস্টের প্রথম দিন ৮ উইকেটে ২৭০ রান করেছে। আজ দ্বিতীয় দিন শেষ ২ উইকেট হাতে রেখে কতদূর যাবে অতিথিরা?
২১ রানে অপরাজিত থেকে দিন শুরু করেছেন ব্যারি ম্যাকার্থি। তার সঙ্গে নেমেছেন ম্যাথু হামফ্রিজ। শেষে আসবেন ক্রেইগ ইয়ং। এই উইকেটে আয়ারল্যান্ড নিশ্চিতভাবেই তিনশ রান পেতে চাইবে। এই পুঁজি হলে ম্যাচে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করতে পারবে তারা।
৫ ক্যাচ মিসে হতাশার দিন বাংলাদেশের
সাদমান ইসলাম, তাইজুল ইসলাম, মেহেদী হাসান মিরাজ, নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুশফিকুর রহিম। তারা প্রত্যেকেই এক বিন্দুতে মিলিত আছেন। প্রত্যেকেই গতকাল প্রথম দিন ক্যাচ ছেড়েছেন। আয়ারল্যান্ডকে প্রতিদ্বন্দ্বীতাপূর্ণ স্কোর দিতে বাংলাদেশের ফিল্ডাররা সহায়তা করেছে বেশ। তারপরও বোলারদের নৈপূণ্যে ৮ উইকেট তুলে নিতে পেরেছে দল।